প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ফিফা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে—এমন সম্ভাবনা এখনো দূর কল্পনার মতোই। ইতিহাসে বাংলাদেশ কখনো মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি; বাছাইপর্বেই থেমে গেছে যাত্রা। তারপরও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মুখে শোনা গেল বাংলাদেশকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ও শুভকামনার বার্তা।
গত বৃহস্পতিবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন ইনফান্তিনো। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের সেই ম্যাচ দেখতেই তিনি মাঠে যান। সেখানেই এক প্রবাসী বাংলাদেশি তার ফোনে ভিডিও করছিলেন। সেই ভিডিওতেই ইনফান্তিনো বলেন,
“এগিয়ে চলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে তোমার অপেক্ষায় আছি বাংলাদেশ।”
এই মন্তব্য শুনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে—বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্বকাপে খেলে না, তাহলে ফিফা প্রেসিডেন্ট কেন এমন কথা বললেন?
এর উত্তর লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যেই। ২০২২ বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, মাঠে না থাকলেও উপস্থিতি জানান দেওয়া যায় সমর্থনে, আবেগে, উদযাপনে। সেই আসরে বাংলাদেশের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছিল। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার প্রতি ঢালাও সমর্থন নজর কাড়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও।
আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ পর্যন্ত ধন্যবাদ জানাতে বাংলাদেশে এসে শুভেচ্ছা জানান—যা বিশ্বমঞ্চে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
সম্ভবত এই আবেগী ও নিবেদিতপ্রাণ সমর্থকগোষ্ঠীর কারণেই ইনফান্তিনো বলেন, তিনি ‘বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছেন’—মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বরং এক অনন্য সমর্থকশক্তি হিসেবে।
বাংলাদেশ হয়তো এখনো বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি, কিন্তু সমর্থকদের আবেগ ইতিমধ্যেই বিশ্ব ফুটবলে তাদের বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে।